রমজান মাসে মুর্দারা বাড়িতে আসে ! কুসংস্কার নাকি সত্য?

Share this

রমজান মাসে মুর্দারা বাড়িতে আসে—এই ধারণা অনেকের মধ্যে প্রচলিত। এটি কুসংস্কার নাকি সত্য, তা নিয়ে আলোচনা করা প্রয়োজন। ইসলামী শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে এই বিষয়টি পরিষ্কার করা যাক।

১. রমজান মাসের গুরুত্ব

রমজান মাস ইসলামে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি ইবাদত, তাওবা ও আত্মশুদ্ধির মাস। এই মাসে কুরআন নাজিল হয়েছে, এবং রোজা রাখা ফরজ করা হয়েছে। রমজান মাসে মুমিনরা বেশি বেশি ইবাদত করে এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের চেষ্টা করে।

২. মুর্দার আত্মা সম্পর্কে ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গি

ইসলামে মুর্দার আত্মা সম্পর্কে স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। মুর্দার আত্মা এই পৃথিবীতে ফিরে আসে না। কুরআন ও হাদিসে এ বিষয়ে স্পষ্ট বর্ণনা রয়েছে। মুর্দার আত্মা বারজাখে অবস্থান করে, যেখানে তারা তাদের আমলের ফল ভোগ করে। এই পৃথিবীতে তাদের ফিরে আসার কোনো সুযোগ নেই।

৩. কুসংস্কার ও ইসলাম

ইসলামে কুসংস্কারের কোনো স্থান নেই। ইসলাম একটি বিজ্ঞানভিত্তিক ও যুক্তিসঙ্গত ধর্ম। কুসংস্কার হলো অন্ধবিশ্বাস, যা যুক্তি ও বিজ্ঞানের সাথে সাংঘর্ষিক। রমজান মাসে মুর্দারা বাড়িতে আসে—এই ধারণা একটি কুসংস্কার, যা ইসলামী শরীয়তের সাথে সাংঘর্ষিক।

 

আরও পড়ুনঃ আমার দাদী অতি বৃদ্ধ তাই রোজা রাখতে পারেনা করনীয় কি?

 

৪. ইসলামী স্কলারদের মতামত

ইসলামী স্কলাররা একমত যে, মুর্দার আত্মা এই পৃথিবীতে ফিরে আসে না। এটি একটি কুসংস্কার, যা ইসলামী শরীয়তের সাথে সাংঘর্ষিক। নবী মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, “মুর্দার আত্মা এই পৃথিবীতে ফিরে আসে না।” (সহীহ বুখারী)। তাই রমজান মাসে মুর্দারা বাড়িতে আসে—এই ধারণা একটি কুসংস্কার।

৫. রমজান মাসে মুর্দার জন্য করণীয়

রমজান মাসে মুর্দার জন্য কিছু করণীয় রয়েছে:

  • দোয়া করা: মুর্দার জন্য দোয়া করা উচিত। দোয়ার মাধ্যমে মুর্দার আত্মার শান্তি কামনা করা যায়।
  • সদকা দেওয়া: মুর্দার পক্ষ থেকে সদকা দেওয়া উচিত। সদকা দেওয়ার মাধ্যমে মুর্দার আত্মার মাগফিরাত কামনা করা যায়।
  • কুরআন তিলাওয়াত: মুর্দার জন্য কুরআন তিলাওয়াত করা উচিত। কুরআন তিলাওয়াতের সওয়াব মুর্দার আত্মার প্রতি উৎসর্গ করা যায়।

৬. কুসংস্কার থেকে বের হওয়া

কুসংস্কার থেকে বের হয়ে ইসলামী শরীয়তের আলোকে জীবনযাপন করা উচিত। কুসংস্কার মানুষের মনে ভয় ও অশান্তি সৃষ্টি করে। ইসলামী শরীয়তের আলোকে জীবনযাপন করলে মানসিক শান্তি ও প্রশান্তি লাভ করা যায়।

৭. ইসলামী শরীয়তের আলোকে জীবনযাপন

ইসলামী শরীয়তের আলোকে জীবনযাপন করা উচিত। ইসলাম একটি বিজ্ঞানভিত্তিক ও যুক্তিসঙ্গত ধর্ম। ইসলামী শরীয়তের আলোকে জীবনযাপন করলে মানসিক শান্তি ও প্রশান্তি লাভ করা যায়। কুসংস্কার থেকে বের হয়ে ইসলামী শরীয়তের আলোকে জীবনযাপন করা উচিত।

৮. উপসংহার

রমজান মাসে মুর্দারা বাড়িতে আসে—এই ধারণা একটি কুসংস্কার, যা ইসলামী শরীয়তের সাথে সাংঘর্ষিক। ইসলামে মুর্দার আত্মা এই পৃথিবীতে ফিরে আসে না। রমজান মাসে মুর্দার জন্য দোয়া করা, সদকা দেওয়া ও কুরআন তিলাওয়াত করা উচিত। কুসংস্কার থেকে বের হয়ে ইসলামী শরীয়তের আলোকে জীবনযাপন করা উচিত। ইসলামী শরীয়তের আলোকে জীবনযাপন করলে মানসিক শান্তি ও প্রশান্তি লাভ করা যায়।

Share this

এই পোষ্টগুলো পড়তে পারেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *