যাকাতে হিসাব কিভাবে করা হয়?
Share this
যাকাত ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে একটি। এটি মুসলমানদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। যাকাত দেওয়ার মাধ্যমে একজন মুসলমান তার সম্পদের একটি অংশ গরিব-দুঃখীদের মধ্যে বণ্টন করে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করে। যাকাত দেওয়ার জন্য যাকাতের হিসাব করা জরুরি। নিম্নে যাকাতের হিসাব কিভাবে করা হয়, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
যাকাতের সংজ্ঞা
যাকাত হলো ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী নির্ধারিত সম্পদের একটি অংশ গরিব-দুঃখীদের মধ্যে বণ্টন করা। যাকাত দেওয়ার মাধ্যমে একজন মুসলমান তার সম্পদের পরিশুদ্ধি অর্জন করে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করে। আল্লাহ তাআলা বলেন, “তোমরা নামাজ প্রতিষ্ঠা করো এবং যাকাত দাও।” (সুরা বাকারা, আয়াত ১১০)।
যাকাতের হিসাব করার শর্ত
যাকাতের হিসাব করার কিছু শর্ত রয়েছে। নিম্নে যাকাতের হিসাব করার শর্ত আলোচনা করা হলো:
১. মুসলমান হওয়া: যাকাতের হিসাব করার জন্য মুসলমান হওয়া জরুরি। মুসলমান না হলে যাকাতের হিসাব করা যাবে না।
২. প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া: যাকাতের হিসাব করার জন্য প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া জরুরি। প্রাপ্তবয়স্ক না হলে যাকাতের হিসাব করা যাবে না।
৩. সুস্থ মস্তিষ্ক: যাকাতের হিসাব করার জন্য সুস্থ মস্তিষ্ক থাকা জরুরি। সুস্থ মস্তিষ্ক না থাকলে যাকাতের হিসাব করা যাবে না।
৪. নিসাব পরিমাণ সম্পদ: যাকাতের হিসাব করার জন্য নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকা জরুরি। নিসাব হলো ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী নির্ধারিত সম্পদের পরিমাণ। নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকলে যাকাতের হিসাব করা ওয়াজিব।
৫. সম্পদের মালিকানা: যাকাতের হিসাব করার জন্য সম্পদের মালিকানা থাকা জরুরি। সম্পদের মালিকানা থাকলে যাকাতের হিসাব করা ওয়াজিব।
৬. সম্পদের পরিশুদ্ধি: যাকাতের হিসাব করার মাধ্যমে সম্পদের পরিশুদ্ধি অর্জন করা যায়। যাকাতের হিসাব করার মাধ্যমে সম্পদের পরিশুদ্ধি অর্জন করা উচিত।
যাকাতের হিসাব করার নিয়ম
যাকাতের হিসাব করার কিছু নিয়ম রয়েছে। নিম্নে যাকাতের হিসাব করার নিয়ম আলোচনা করা হলো:
১. নিসাব পরিমাণ সম্পদ: যাকাতের হিসাব করার জন্য নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকা জরুরি। নিসাব হলো ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী নির্ধারিত সম্পদের পরিমাণ। নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকলে যাকাতের হিসাব করা ওয়াজিব।
২. সম্পদের মালিকানা: যাকাতের হিসাব করার জন্য সম্পদের মালিকানা থাকা জরুরি। সম্পদের মালিকানা থাকলে যাকাতের হিসাব করা ওয়াজিব।
৩. সম্পদের পরিশুদ্ধি: যাকাতের হিসাব করার মাধ্যমে সম্পদের পরিশুদ্ধি অর্জন করা যায়। যাকাতের হিসাব করার মাধ্যমে সম্পদের পরিশুদ্ধি অর্জন করা উচিত।
৪. যাকাতের পরিমাণ: যাকাতের পরিমাণ হলো সম্পদের ২.৫%। সম্পদের ২.৫% যাকাত দেওয়া ওয়াজিব।
৫. যাকাতের সময়: যাকাতের হিসাব করার জন্য নির্ধারিত সময় রয়েছে। যাকাতের হিসাব করার জন্য নির্ধারিত সময় হলো ইসলামী বর্ষের শেষে। ইসলামী বর্ষের শেষে যাকাতের হিসাব করা উচিত।
৬. যাকাতের হকদার: যাকাতের হিসাব করার জন্য যাকাতের হকদার নির্ধারণ করা জরুরি। যাকাতের হকদার হলো ফকির, মিসকিন, যাকাত আদায়কারী, যাদের চিত্ত আকর্ষণ করা প্রয়োজন, দাসমুক্তি, ঋণগ্রস্ত, আল্লাহর পথে এবং মুসাফির।
যাকাতের হিসাব করার পদ্ধতি
যাকাতের হিসাব করার পদ্ধতি নিম্নরূপ:
১. নিয়ত করা: প্রথমে যাকাতের হিসাব করার নিয়ত করতে হবে। নিয়ত হলো মনে মনে এই ইচ্ছা পোষণ করা যে, আমি আল্লাহর জন্য যাকাতের হিসাব করছি।
২. সম্পদের পরিমাণ নির্ধারণ করা: যাকাতের হিসাব করার জন্য সম্পদের পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে। সম্পদের পরিমাণ নির্ধারণ করার জন্য সম্পদের মূল্য নির্ধারণ করতে হবে।
৩. নিসাব পরিমাণ সম্পদ নির্ধারণ করা: যাকাতের হিসাব করার জন্য নিসাব পরিমাণ সম্পদ নির্ধারণ করতে হবে। নিসাব হলো ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী নির্ধারিত সম্পদের পরিমাণ। নিসাব পরিমাণ সম্পদ নির্ধারণ করার জন্য সম্পদের মূল্য নির্ধারণ করতে হবে।
৪. যাকাতের পরিমাণ নির্ধারণ করা: যাকাতের হিসাব করার জন্য যাকাতের পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে। যাকাতের পরিমাণ হলো সম্পদের ২.৫%। সম্পদের ২.৫% যাকাত দেওয়া ওয়াজিব।
৫. যাকাতের হকদার নির্ধারণ করা: যাকাতের হিসাব করার জন্য যাকাতের হকদার নির্ধারণ করতে হবে। যাকাতের হকদার হলো ফকির, মিসকিন, যাকাত আদায়কারী, যাদের চিত্ত আকর্ষণ করা প্রয়োজন, দাসমুক্তি, ঋণগ্রস্ত, আল্লাহর পথে এবং মুসাফির।
৬. যাকাত দেওয়া: যাকাতের পরিমাণ ও হকদার নির্ধারণ করার পরে যাকাত দেওয়া যায়। যাকাত দেওয়ার মাধ্যমে সম্পদের পরিশুদ্ধি অর্জন করা যায়।
যাকাতের হিসাব করার ফজিলত
যাকাতের হিসাব করার ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে অনেক বর্ণনা রয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি যাকাত দেবে, তার সম্পদ বৃদ্ধি পাবে।” (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ১০১৬)।
এই হাদিস থেকে বোঝা যায়, যাকাতের হিসাব করার মাধ্যমে একজন মুসলমান তার সম্পদ বৃদ্ধি করতে পারে। যাকাতের হিসাব করার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়।
আরও পড়ুনঃ যাকাত ক্যালকুলেটর
যাকাতের হিসাব না করার পরিণতি
যাকাতের হিসাব না করার পরিণতি সম্পর্কে হাদিসে অনেক বর্ণনা রয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি যাকাত দেবে না, তার সম্পদ ধ্বংস হয়ে যাবে।” (সুনান তিরমিজি, হাদিস নং ৬৪১)।
এই হাদিস থেকে বোঝা যায়, যাকাতের হিসাব না করার মাধ্যমে একজন মুসলমান তার সম্পদ ধ্বংস করতে পারে। যাকাতের হিসাব না করার মাধ্যমে আল্লাহর অসন্তুষ্টি অর্জন করা যায়।
উপসংহার
যাকাত ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে একটি। এটি মুসলমানদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। যাকাত দেওয়ার মাধ্যমে একজন মুসলমান তার সম্পদের একটি অংশ গরিব-দুঃখীদের মধ্যে বণ্টন করে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করে। যাকাতের হিসাব করার জন্য নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকা জরুরি। যাকাতের পরিমাণ হলো সম্পদের ২.৫%। যাকাতের হিসাব করার মাধ্যমে সম্পদের পরিশুদ্ধি অর্জন করা যায়। যাকাতের হিসাব করার ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে অনেক বর্ণনা রয়েছে। যাকাতের হিসাব না করার পরিণতি সম্পর্কে হাদিসে অনেক বর্ণনা রয়েছে। যাকাতের হিসাব করার মাধ্যমে একজন মুসলমান তার সম্পদ বৃদ্ধি করতে পারে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারে।