রোজা না রাখার শাস্তি ?

Share this

রোজা রাখা ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ ও সক্ষম মুসলমানের জন্য রমজান মাসে রোজা রাখা ফরজ। তবে কিছু মানুষ বিভিন্ন কারণে রোজা রাখতে পারেন না বা রাখেন না। এই অবস্থায় রোজা না রাখার শাস্তি কী, তা নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে। এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য ইসলামিক দৃষ্টিকোণ, ফিকহের নিয়ম এবং বাস্তব জীবনের প্রেক্ষাপট বিবেচনা করা প্রয়োজন।

ইসলামিক দৃষ্টিকোণ:

ইসলামে রোজা রাখা ফরজ ইবাদত। আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বলেছেন, “হে ঈমানদারগণ, তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর, যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।” (সূরা বাকারা, আয়াত ১৮৩)

রোজা না রাখার শাস্তি সম্পর্কে ইসলামিক স্কলারদের মধ্যে ভিন্ন মত রয়েছে। তবে সাধারণভাবে বলা যায়, যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা না রাখে, তাহলে এটি একটি গুনাহের কাজ। এই গুনাহের জন্য তওবা করা এবং পরবর্তীতে কাজা রোজা রাখা আবশ্যক।

রোজা না রাখার কারণ:

রোজা না রাখার পিছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। যেমন:

১. স্বাস্থ্যগত সমস্যা: যদি কেউ অসুস্থ হয় বা রোজা রাখলে তার স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে, তাহলে সে রোজা না রাখতে পারে। তবে পরে সুস্থ হলে কাজা রোজা রাখা আবশ্যক।

২. ভ্রমণ: যদি কেউ ভ্রমণে থাকে, তাহলে সে রোজা না রাখতে পারে। তবে পরে কাজা রোজা রাখা আবশ্যক।

৩. গর্ভাবস্থা বা স্তন্যদান: যদি কোনো মহিলা গর্ভবতী হন বা স্তন্যদান করান, তাহলে তিনি রোজা না রাখতে পারেন। তবে পরে কাজা রোজা রাখা আবশ্যক।

৪. ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা না রাখা: যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা না রাখে, তাহলে এটি একটি গুনাহের কাজ। এই গুনাহের জন্য তওবা করা এবং পরবর্তীতে কাজা রোজা রাখা আবশ্যক।

রোজা না রাখার শাস্তি:

রোজা না রাখার শাস্তি সম্পর্কে ইসলামিক স্কলারদের মধ্যে ভিন্ন মত রয়েছে। তবে সাধারণভাবে বলা যায়, যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা না রাখে, তাহলে এটি একটি গুনাহের কাজ। এই গুনাহের জন্য তওবা করা এবং পরবর্তীতে কাজা রোজা রাখা আবশ্যক।

১. গুনাহ: ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা না রাখা একটি গুনাহের কাজ। এই গুনাহের জন্য তওবা করা আবশ্যক।

২. কাজা রোজা: যদি কেউ রোজা না রাখে, তাহলে পরে কাজা রোজা রাখা আবশ্যক। কাজা রোজা হলো সেই রোজাগুলো পরবর্তীতে রাখা।

৩. কাফফারা: যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা ভঙ্গ করে, তাহলে তার জন্য কাফফারা দেওয়া আবশ্যক। কাফফারা হলো একটি গোলাম আজাদ করা, বা ৬০ দিন রোজা রাখা, বা ৬০ জন মিসকিনকে খাওয়ানো।

আরও পড়ুনঃ প্রতিদিন বীর্য ফেললে কি হয়?

রোজা না রাখার পর করণীয়:

যদি কেউ রোজা না রাখে, তাহলে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করা উচিত:

১. তওবা করা: প্রথমেই আল্লাহর কাছে তওবা করা। তওবা হলো গুনাহ থেকে ফিরে আসা এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা।

২. কাজা রোজা রাখা: যদি কেউ রোজা না রাখে, তাহলে পরে কাজা রোজা রাখা আবশ্যক। কাজা রোজা হলো সেই রোজাগুলো পরবর্তীতে রাখা।

৩. কাফফারা দেওয়া: যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা ভঙ্গ করে, তাহলে তার জন্য কাফফারা দেওয়া আবশ্যক। কাফফারা হলো একটি গোলাম আজাদ করা, বা ৬০ দিন রোজা রাখা, বা ৬০ জন মিসকিনকে খাওয়ানো।

উপসংহার:

রোজা না রাখার শাস্তি সম্পর্কে ইসলামিক স্কলারদের মধ্যে ভিন্ন মত রয়েছে। তবে সাধারণভাবে বলা যায়, যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা না রাখে, তাহলে এটি একটি গুনাহের কাজ। এই গুনাহের জন্য তওবা করা এবং পরবর্তীতে কাজা রোজা রাখা আবশ্যক। মনে রাখবেন, আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়ালু, এবং তিনি আপনার ইচ্ছা ও প্রচেষ্টাকে মূল্যায়ন করবেন। তাই রোজা না রাখার পর তওবা করে কাজা রোজা রাখুন এবং আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন।

Share this

এই পোষ্টগুলো পড়তে পারেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *