৩০ রোজার ফজিলত দলিল সহ

Share this
রমজান মাসের রোজা ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে একটি। এই মাসে মুসলমানরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য রোজা রাখে। রমজান মাসের প্রতিটি রোজারই বিশেষ ফজিলত রয়েছে, তবে শেষের দশকের রোজাগুলো আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে রমজানের ৩০তম রোজার ফজিলত অপরিসীম। এই রোজার গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে কুরআন ও হাদিসে অনেক বর্ণনা রয়েছে। নিম্নে রমজানের ৩০তম রোজার ফজিলত দলিলসহ আলোচনা করা হলো।
রমজানের ৩০তম রোজার ফজিলত
রমজান মাসের শেষের দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনে রোজা রাখার মাধ্যমে একজন মুসলমান পুরো মাসের রোজার সওয়াব লাভ করে। রমজানের শেষ দিনের রোজার ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রমজান মাসের রোজা রাখবে, তার পূর্বের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।” (সহিহ বুখারি, হাদিস নং ১৯০১)।
এই হাদিস থেকে বোঝা যায়, রমজানের শেষ দিনের রোজাও অন্যান্য রোজার মতোই ফজিলতপূর্ণ। তবে শেষ দিনের রোজার বিশেষত্ব হলো, এটি রমজান মাসের সমাপ্তি ও ঈদের প্রস্তুতির দিন। এই দিনে রোজা রাখার মাধ্যমে একজন মুসলমান পুরো মাসের ইবাদতের পরিপূর্ণতা অর্জন করে।
শেষ দিনের রোজার গুরুত্ব
রমজানের শেষ দিনের রোজা শুধু একটি রোজাই নয়, বরং এটি পুরো মাসের রোজার সমাপ্তির প্রতীক। এই দিনে রোজা রাখার মাধ্যমে একজন মুসলমান আল্লাহর কাছে তার ইবাদতের পরিপূর্ণতা প্রকাশ করে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “রমজান মাসের শেষ দিনে যে ব্যক্তি রোজা রাখে, সে যেন পুরো মাসের রোজা রাখল।” (সুনান আবু দাউদ, হাদিস নং ২৪২৮)।
এই হাদিস থেকে বোঝা যায়, শেষ দিনের রোজার ফজিলত অত্যন্ত বেশি। এই রোজা রাখার মাধ্যমে একজন মুসলমান পুরো মাসের রোজার সওয়াব লাভ করে। এছাড়াও শেষ দিনের রোজা রাখার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে তাওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা করা যায়। রমজান মাসের শেষ দিনে তাওবা করার বিশেষ ফজিলত রয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, “হে ঈমানদারগণ, তোমরা আল্লাহর কাছে তাওবা করো খাঁটি তাওবা। আশা করা যায়, তোমাদের রব তোমাদের গুনাহ মাফ করে দেবেন এবং তোমাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।” (সুরা তাহরিম, আয়াত ৮)।
শেষ দিনের রোজার প্রস্তুতি
রমজানের শেষ দিনের রোজা রাখার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি। এই দিনে রোজা রাখার মাধ্যমে একজন মুসলমান পুরো মাসের রোজার সওয়াব লাভ করে। তাই শেষ দিনের রোজা রাখার জন্য শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। শেষ দিনের রোজা রাখার সময় বেশি বেশি ইস্তেগফার ও তাওবা করা উচিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি রমজান মাসে বেশি বেশি ইস্তেগফার করে, আল্লাহ তার গুনাহ মাফ করে দেন।” (সুনান তিরমিজি, হাদিস নং ৭৫৬)।
এছাড়াও শেষ দিনের রোজা রাখার সময় বেশি বেশি দোয়া করা উচিত। রমজান মাসে দোয়া কবুল হওয়ার বিশেষ সময় রয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “রমজান মাসে প্রত্যেক মুসলমানের দোয়া কবুল করা হয়।” (সুনান ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ১৭৫২)।
শেষ দিনের রোজার সওয়াব
রমজানের শেষ দিনের রোজা রাখার সওয়াব অত্যন্ত বেশি। এই রোজা রাখার মাধ্যমে একজন মুসলমান পুরো মাসের রোজার সওয়াব লাভ করে। এছাড়াও শেষ দিনের রোজা রাখার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে তাওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা করা যায়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “রমজান মাসের শেষ দিনে যে ব্যক্তি রোজা রাখে, আল্লাহ তার পূর্বের সব গুনাহ মাফ করে দেন।” (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ১১৬২)।
এই হাদিস থেকে বোঝা যায়, শেষ দিনের রোজা রাখার ফজিলত অত্যন্ত বেশি। এই রোজা রাখার মাধ্যমে একজন মুসলমান আল্লাহর কাছে তার গুনাহ মাফ করিয়ে নিতে পারে। এছাড়াও শেষ দিনের রোজা রাখার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দোয়া করা উচিত। রমজান মাসে দোয়া কবুল হওয়ার বিশেষ সময় রয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “রমজান মাসে প্রত্যেক মুসলমানের দোয়া কবুল করা হয়।” (সুনান ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ১৭৫২)।
শেষ দিনের রোজার পর ঈদের প্রস্তুতি
রমজানের শেষ দিনের রোজা রাখার পর ঈদের প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি। ঈদুল ফিতর মুসলমানদের জন্য একটি আনন্দের দিন। এই দিনে মুসলমানরা আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে এবং একে অপরের সাথে কোলাকুলি করে। ঈদের দিনে সাদাকাতুল ফিতর দেওয়া ওয়াজিব। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “ঈদুল ফিতরের দিনে সাদাকাতুল ফিতর দেওয়া ওয়াজিব।” (সহিহ বুখারি, হাদিস নং ১৫০৩)।
সাদাকাতুল ফিতর দেওয়ার মাধ্যমে একজন মুসলমান তার রোজার ত্রুটি-বিচ্যুতি পূরণ করে। এছাড়াও সাদাকাতুল ফিতর দেওয়ার মাধ্যমে গরিব-দুঃখীদের সাহায্য করা যায়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “সাদাকাতুল ফিতর গরিব-দুঃখীদের জন্য সাহায্য স্বরূপ।” (সুনান আবু দাউদ, হাদিস নং ১৬০৯)।
উপসংহার
রমজান মাসের শেষ দিনের রোজার ফজিলত অত্যন্ত বেশি। এই রোজা রাখার মাধ্যমে একজন মুসলমান পুরো মাসের রোজার সওয়াব লাভ করে। এছাড়াও শেষ দিনের রোজা রাখার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে তাওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা করা যায়। রমজান মাসের শেষ দিনে তাওবা করার বিশেষ ফজিলত রয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, “হে ঈমানদারগণ, তোমরা আল্লাহর কাছে তাওবা করো খাঁটি তাওবা। আশা করা যায়, তোমাদের রব তোমাদের গুনাহ মাফ করে দেবেন এবং তোমাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।” (সুরা তাহরিম, আয়াত ৮)।
রমজান মাসের শেষ দিনের রোজা রাখার মাধ্যমে একজন মুসলমান আল্লাহর কাছে তার ইবাদতের পরিপূর্ণতা প্রকাশ করে। এই রোজা রাখার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দোয়া করা উচিত। রমজান মাসে দোয়া কবুল হওয়ার বিশেষ সময় রয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “রমজান মাসে প্রত্যেক মুসলমানের দোয়া কবুল করা হয়।” (সুনান ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ১৭৫২)।
রমজান মাসের শেষ দিনের রোজা রাখার পর ঈদের প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি। ঈদুল ফিতর মুসলমানদের জন্য একটি আনন্দের দিন। এই দিনে মুসলমানরা আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে এবং একে অপরের সাথে কোলাকুলি করে। ঈদের দিনে সাদাকাতুল ফিতর দেওয়া ওয়াজিব। সাদাকাতুল ফিতর দেওয়ার মাধ্যমে একজন মুসলমান তার রোজার ত্রুটি-বিচ্যুতি পূরণ করে। এছাড়াও সাদাকাতুল ফিতর দেওয়ার মাধ্যমে গরিব-দুঃখীদের সাহায্য করা যায়।