বাশ কত প্রকার ও কি কি! বাশের উপকারিতা কি কি?
সবচেয়ে লম্বা ঘাস, দ্রুত বর্ধনশীল চিরহরিৎ উদ্ভিদ হলো বাঁশ। গৃহস্থালির কাজে বাঁশের ব্যবহার সবারই জানা। কিন্তু সবার হয়ত জানা নেই যে, এটি অত্যন্ত সুস্বাদু এবং উপকারী খাবারও? বাঁশের কোড়ল পাহাড়ি আদিবাসীদের একটি অতি পরিচিত ও উপাদেয় খাদ্য।
সদ্য অঙ্কুরিত বাঁশের চারাকে কোড়ল বলা হয়। হালকা হলুদ এবং সবুজের মিশ্রণে এটি দেখতেও বেশ। কোড়ল খুব নরম ও আর্দ্র। বাংলাদেশে সিলেট ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি আদিবাসীরা এটি বেশি খেয়ে থাকেন। তবে ভারতের মেঘালয়, আসাম ও হিমাচল প্রদেশ, নেপাল, ভুটান, চীন, কোরিয়া ও জাপানে বাঁশের কোড়ল খুব জনপ্রিয়।
কোড়লের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আমরা অতটা পরিচিত না হলেও চীনারা ঠিকই এর মর্ম জানে। তারা বাঁশের কোড়লকে “স্বাস্থ্যকর খাবারের রাজা” বলে জানে। দৈহিক সুস্থতায় এর কোনো জুড়ি নেই।
বাঁশের পুষ্টিমান:
পানি: ৮৮ – ৯৩%
প্রোটিন: ১.৪ – ৫%
চিনি: ০.৭৮ – ৫.৮৬%
চর্বি : ০.২৫ – ০.৯৫%
সেলুলোজ: ০.৬০ – ১.৩৪%
খনিজ পদার্থ: ১.১%
এছাড়াও আছে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন।
বাঁশের কোড়লের উপকারিতা:
হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস: মানবদেহে হৃদরোগের অন্যতম কারণ রক্তে কোলেস্টেরলের অত্যাধিক মাত্রা। তবে নিয়মিত বাঁশের কোড়ল খেলে দেহে কোলেস্টেরলের ভারসাম্য বজায় থাকে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: কচি বাঁশ দেহে উচ্চরক্তচাপ কমিয়ে আনে। এর পাশাপাশি এটি ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমায়।
কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি: কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে বাঁশের কোড়ল দারুণ কার্যকরী একটি খাবার। যারা এ সমস্যায় ভুগছেন তারা প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এটা রাখুন।
এছাড়াও কোড়ল খেলে ডায়াবেটিস, হাঁপানী, মৃগী রোগ, মূর্ছা ও তীব্র জ্বরের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এর কোনো খারাপ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তাই নিশ্চিন্তে খেতে পারেন এই উদ্ভিদ।
সবচেয়ে লম্বা ঘাস, দ্রুত বর্ধনশীল চিরহরিৎ উদ্ভিদ হলো বাঁশ। গৃহস্থালির কাজে বাঁশের ব্যবহার সবারই জানা। কিন্তু সবার হয়ত জানা নেই যে, এটি অত্যন্ত সুস্বাদু এবং উপকারী খাবারও? বাঁশের কোড়ল পাহাড়ি আদিবাসীদের একটি অতি পরিচিত ও উপাদেয় খাদ্য।
সদ্য অঙ্কুরিত
সবচেয়ে লম্বা ঘাস, দ্রুত বর্ধনশীল চিরহরিৎ উদ্ভিদ হলো বাঁশ। গৃহস্থালির কাজে বাঁশের ব্যবহার সবারই জানা। কিন্তু সবার হয়ত জানা নেই যে, এটি অত্যন্ত সুস্বাদু এবং উপকারী খাবারও? বাঁশের কোড়ল পাহাড়ি আদিবাসীদের একটি অতি পরিচিত ও উপাদেয় খাদ্য।
সদ্য অঙ্কুরিত